মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণ বিছামারা গ্রামের অসহায় মনজুর আলমের ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
একই গ্রামের আব্বাছ আলী, তাঁর স্ত্রী ছকিনা বেগম,নুরজাহান গং এর বিরুদ্ধে। অসহায় মনজুর আলম জানান বিগত ২০১৮ সালের ১৮ জুন মংহ্লা মার্মা,মিবোং মার্মাসহ তাদের ওয়ারিশগণ থেকে ২৭০ নং মৌজা,হোল্ডিং নং ৫০,১৫০ এর অন্দর ২ একর ৯৪ শতক ১ম শ্রেণীর জমি ক্রয়করে শান্তিপূর্ণভাবে আমি ভোগ দখলে আছি। এরই মাঝে বেশ কয়েক বার তারা আমার উপর হামলা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ২ জুলাই আনুমানিক সাড়ে ১০ টায়
তারা জমির জবর দখল নিতে আমার দেওয়া ঘেরা ভাঙচুর করে খড় স্টেক করে রাখা, অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় গাছ রোপণসহ নানা কৌশল চালাচ্ছে এ চক্রটি। এরা ছাড়াও ১২/১৭ সালের আদালতের মামলার একটি আদেশ অনুযায়ী মোঃ ইসলাম, মনজু আরা, মোঃ হানিফ গংরা বর্গা চাষা হিসাবে স্বীকৃতি পায় এই চাষারা মিলে আমার ক্রয়কৃত জমি দখলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি এবং হয়রানি করে আসছে। আমি নিরুপায় হয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে গত ২ জুলাই নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একখানা অভিযোগ দায়ের করি।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জমির মুল খতিয়ানের মালিক মংহ্লা মার্মা বাদী হয়ে জবর দখলকারী আব্বাছ আলী গং এর বিরুদ্ধে বান্দরবান জেলার বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ২৫ মে ২০২২ ইং তারিখে অপর ৬/ ২০২২ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাকে উপেক্ষা করে তারা বার বার উক্ত জমি জবরদখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ফয়েজ আহমেদ, মোঃ হাশেমসহ অনেকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন ঘটনাটি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, এই নিয়ে গ্রামে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে,যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত আব্বাছ আলীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি মৃত মংনাই মার্মা থেকে ক্রয় করেছেন বলে জানান। তবে স্থানীয় সর্দার হাশেম জানান মংনাই ওয়ারিশ সূত্রে জমি পাবে এক একর ৫ শতক। অথচ সে আব্বাছ এবং জাফর নামের দুই ব্যক্তিকে বিক্রি করছে দুই একর ২০ শতক দুই জনের কাউকে দখল না দেওয়ায় এঘটনা সৃষ্টি হয়েছে। মনজু আলম ক্রয় করেছেন মংহ্লা মার্মা, মিবোং মার্মাসহ তিন ওয়ারিশ থেকে ২ একর ৯৪ শতক জমি। এলাকার মেম্বার, সর্দারসহ সচেতন মহল বিষয়টি নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অন্যথায় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা করছেন তারা।